পাসপোর্টে ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী দেশ’ আখ্যায়িত করে পুনরায় ইসরায়েল প্রবেশ নিষিদ্ধকরণসহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আলামিন আটিয়া বলেন, এডলফ হিটলার দ্বারা বিতাড়িত ইহুদিদের নিয়ে ১৯৪৮ মুসলমানদের পবিত্র ভূমিকে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আজ তারা প্যালেস্টাইনের নারী ও শিশুদের উপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ভূমি খালি করে তা দখলে করে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে সম্প্রসারণের অপপ্রয়াসকে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক হিসাবে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারকে ৬ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে।
দাবিগুলো হলো:
১. পাসপোর্টে ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী দেশ আখ্যায়িত করে পুনরায় ইসরায়েল প্রবেশ নিষিদ্ধ চাওয়া।
২. ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের সকল পণ্যের উপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা।
৩. ইসরায়েল ভ্রমণ আছে এমন ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা।
৪. মজলুম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অনুদান পাঠানো সকল পণ্যে শুল্ককরমুক্ত ঘোষণা।
৫. প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস স্যারের প্রতি একান্ত অনুরোধ, এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বিশ্বনেতাদের নিয়ে ফিলিস্তিনে মহাসমাবেশ করা।
৬. ওআইসি, আরব লীগকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করার আলোচনা তোলা ও জাতিসংঘে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার জন্য তাদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি তোলা।
এছাড়াও এই বিষয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানান আলামিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান মারুফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাকিল, ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি হাসিব শিকদার। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রয়েল খান প্রমুখ।