Close Menu
Vorer KhoborVorer Khobor
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Home»ইসলাম ও জীবন»ফিলিস্তিন কি রাসুল (সা:) এর ভবিষ্যদ্বাণীর দিকেই এগোচ্ছে?
    ইসলাম ও জীবন

    ফিলিস্তিন কি রাসুল (সা:) এর ভবিষ্যদ্বাণীর দিকেই এগোচ্ছে?

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 6, 2025 8:53 PMNo Comments5 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    ফিলিস্তিনকে বলা হয় নবী রাসুলদের ভূমি। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সময়ে ফিলিস্তিন ছিল শামদেশের অন্তর্ভুক্ত। শামদেশ হলো- বর্তমান সময়ের সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ড। নবীজির ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, এই অঞ্চল হবে মুসলমানদের সেনাছাউনি। এখানে কেয়ামতের আগে ঈসা (আ.) আসমান থেকে অবতরণ করবেন। এই অঞ্চলে দাজ্জালকে হত্যা করা হবে। এখানেই হবে কেয়ামতের ময়দান।

    শামদেশ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী আছে। বিশেষ করে বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকায় অদূর ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে তার সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। এখানে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিস তুলে ধরা হলো। সম্মানিত পাঠকরাই বিবেচনা করবেন, ফিলিস্তিনে কি নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতিফলন হতে যাচ্ছে।

    ফিলিস্তিনে সত্যবাদী দলের অবস্থান
    উম্মতের মধ্যে একদল বিশেষ শ্রেণির লোক থাকবে, যারা সত্যের পথে লড়াই করতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। তারা সত্যের পক্ষের সংগ্রামকে কেয়ামত না আসা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে। কেউ তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ দলটি শামদেশ অঞ্চলের অবস্থানকারী হবে। মুগিরা ইবন শোবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমার উম্মতের এক দল সব সময় (সত্যের ওপর) বিজয়ী থাকবে। এভাবে কেয়ামত এসে যাবে আর তারা বিজয়ীই থাকবে। (বুখারি: ৭৩১১)

    তাদের অবস্থানস্থল সম্পর্কে আরেক হাদিসে আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর বিজয়ী থাকবে। শত্রুর মনে পরাক্রমশালী থাকবে। দুর্ভিক্ষ ছাড়া কোনো বিরোধীপক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহর আদেশ তথা কিয়ামত পর্যন্ত তারা এমনই থাকবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কোথায় থাকবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তারা বায়তুল মাকদিস ও তার আশপাশে থাকবে। (মুসনাদে আহমদ: ২২৩২০)

    আরও পড়ুনঃ  ইহুদিরা আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায় কেন?

    আরও পড়ুনঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের লেখা সেই চিঠি
    মুসলিমদের দ্বিতীয় হিজরত ভূমি
    হিজরত বলতে সাধারণত রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবাদের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতকে বোঝায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শামে আরেকটি হিজরত হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, হিজরতের পর আরেকটি হিজরত শিগগির সংঘটিত হবে। তখন ভূপৃষ্ঠের সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ হবে তারাই, যারা ইবরাহিম (আ.)-এর হিজরতভূমিতে (শামদেশে) অবস্থান করবে। আর গোটা পৃথিবীতে সর্বনিকৃষ্ট মানুষ বাকি থাকবে। তাদের ভূমিগুলো তাদের নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের অপছন্দ করবেন। তাদের ফিতনার আগুন বানর ও শূকরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে (তাদের দুশ্চরিত্রের কারণে তারা যেখানেই যাবে, সেখানেই ফিতনা লেগে থাকবে)। (আবু দাউদ: ২৪৮২)

    মুসলমানদের সেনাছাউনি
    শাম একসময় মুসলমানদের আশ্রয়স্থল হবে। সেখানকার দামেস্ক নগরীর পার্শ্ববর্তী গোত নগরী তাদের সেনাছাউনি হবে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, মহাযুদ্ধের সময় মুসলিমদের ছাউনি হবে গোতা শহরে, যা দামেস্ক নগরের পাশে অবস্থিত। এটি শামের উৎকৃষ্ট শহরগুলোর একটি। (আবু দাউদ: ৪২৯৮)

    অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, অচিরেই তোমরা শাম বিজয় করতে পারবে, যখন তোমাদের সেখানে বসবাসের এখতিয়ার দেওয়া হবে, তোমরা দামেস্ক নগরীকে বাসস্থান বানাবে, কেননা তা যুদ্ধবর্তীকালীন মুসলিমদের আশ্রয়স্থল হবে, আর তাদের ছাউনি হবে সে দেশের একটি ভূমি, যাকে গোতা বলা হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৭০)

    হাদিসে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সহায়তার নির্দেশ
    এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদুল আকসায় পৌঁছাতে মুসলমানরা সক্ষম হবে না। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। তা হলো- বায়তুল মুকাদ্দাস ও সেখানে অবস্থানকারীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। মসজিদুল আকসা আলোকিত করতে অবদান রাখা। অনেক সাহাবি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জেরুজালেমে বাতি জ্বালাতে তেল কেনার জন্য প্রতিবছর অর্থ পাঠাতেন।

    আরও পড়ুনঃ  ঈদের একদিন আগে একসঙ্গে ৩ ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা

    আরও পড়ুনঃ আন্দোলনে হতাহতদের ৫ কোটি টাকার সহায়তা দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
    মায়মুনা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেন, বায়তুল মাকদিস হলো হাশরের ময়দান। পুনরুত্থানের জায়গা। তোমরা তাতে গিয়ে নামাজ আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে এক হাজার ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মতো । তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সেখানে যাওয়ার শক্তি-সামর্থ্য রাখে না তার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত? তিনি বলেন, সে যেন তার জন্য জ্বালানি তেল হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে। কেননা যে বায়তুল মাকদিসের জন্য হাদিয়া প্রেরণ করে, সে তাতে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির মতো সওয়াব লাভ করবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৭৬২৬)

    শামের কল্যাণের সঙ্গে উম্মতের কল্যাণ সম্পৃক্ত
    মুয়াবিয়া ইবনে কুররা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যখন শামভূমি ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, তখন তোমাদের মধ্যেও কোনো কল্যাণ থাকবে না। আর আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, তাদের যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তারা কেয়ামত পর্যন্ত তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।’ (তিরমিজি: ২১৯২)

    হাদিসে ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যুদ্ধ প্রসঙ্গ
    ইহুদিদের সঙ্গে মুসলিমদের যুদ্ধ নিয়ে মহানবী (স.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এক হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কেয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানগণ ইহুদি সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই না করবে। মুসলমানগণ তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে- হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইহুদি আমার পশ্চাতে। এসো, তাকে হত্যা কর। কিন্তু ’গারকাদ’ গাছ এ কথা বলবে না। কারণ এ হচ্ছে ইহুদিদের গাছ। (সহিহ মুসলিম: ৭০৭৫)

    আরও পড়ুনঃ  বায়তুল মুকাদ্দাসের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যে নবীর মা

    ঈসা (আ.) এর অবতরণস্থল ও দাজ্জালের মৃত্যুস্থান
    ঈসা (আ.) দ্বিতীয় আকাশে অবস্থান করছেন। কেয়ামতের আগে তিনি আবার পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। দুজন ফেরেশতার ডানায় ভর করে সিরিয়ার দামেস্ক শহরে শুভ্র মিনারার কাছে তিনি নেমে আসবেন। আবার সিরিয়ার বাবে লুদ নামক স্থানে দাজ্জালকে মেরে ফেলবেন।

    নাওয়াস ইবন সামআন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) একবার দাজ্জাল প্রসঙ্গে দীর্ঘ ও বিশদ আলোচনা করেছেন।…এক পর্যায়ে তিনি বলেন, তখন আল্লাহ ঈসা ইবন মারইয়ামকে প্রেরণ করবেন। তিনি দুজন ফেরেশতার কাঁধের ওপর ভর করে ওয়ারস ও জাফরান রংয়ের জোড়া কাপড় পরিহিত অবস্থায় দামেস্ক নগরীর পূর্ব দিকের উজ্জ্বল মিনারে অবতরণ করবেন। যখন তিনি তাঁর মাথা ঝুঁকাবেন তখন ফোঁটা ফোঁটা ঘাম তাঁর শরীর থেকে গড়িয়ে পড়বে। তিনি যেকোনো কাফিরের কাছে যাবেন সে তাঁর শ্বাসের বাতাসে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁর দৃষ্টি যতদূর পর্যন্ত যাবে তাঁর শ্বাসও ততদূর পর্যন্ত পৌঁছবে। তিনি দাজ্জালকে সন্ধান করতে থাকবেন। অবশেষে তাকে (সিরিয়ার) বাবে লুদ নামক স্থানে গিয়ে পাকড়াও করবেন এবং তাকে হত্যা করবেন। (মুসলিম: ২৯৩৭)

    এসব ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করে যে কেয়ামত যত ঘনিয়ে আসবে, ফিলিস্তিন অঞ্চল ততই আলোচিত ও অপরিহার্য অঞ্চলে পরিণত হবে। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি সে দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হয়। আল্লাহ তাআলা শামদেশ তথা নির্যাতিত জনপদ সিরিয়া, ফিলিস্তিনসহ সব মুসলিম অঞ্চলকে হেফাজত করুন। আমিন।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      ফিলিস্তিন নিয়ে নবী (সা.) যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন

      April 10, 2025 9:09 PM

      বায়তুল মুকাদ্দাসের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যে নবীর মা

      April 9, 2025 2:18 PM

      ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ওমরি মসজিদ যেভাবে নির্মিত হয়েছে

      April 9, 2025 12:38 PM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      ECNEC approves 17 projects worth Tk 8,974.28cr – Bd24live

      June 24, 2025 5:34 PM

      CA to visit UK from June 10–13 to deepen Dhaka-London ties – Bd24live

      June 21, 2025 2:11 AM

      Crypto Crossroads: Navigating the Optimal Exchange from Tether TRC20 (USDT) to Litecoin (LTC) – Bd24live

      June 20, 2025 10:43 PM

      Israeli Airstrikes Kill Iran’s Revolutionary Guard Chief – Bd24live

      June 20, 2025 7:09 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Vorer Khobor

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.