দর্শনার্থীর কাছে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদল কর্মী সামিউল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী দর্শনার্থী ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন। টাকা লেনদেনের একটি স্ক্রিনশট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
গতকাল বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রোডে মো. রুহুল আমিন (১৮) ও তার বান্ধবীকে আটকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে সামিউলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. রুহুল আমিন তাজহাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রাথমিক ডায়েরি করেন। অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, আমি ও আমার বান্ধবী ক্যাম্পাসের বই মেলা দেখতে এসে ভিসি রোডে হাঁটছিলাম। এমতাস্থায় পিছন থেকে ক্যাম্পাসের ১৩তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. সামিউল ইসলাম সহ পাঁচ জন মিলে রাস্তা আটকিয়ে ভয়ভীতি দেখায় ও ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে জোরপূর্বক ১ হাজার নয়শত নব্বই টাকা আদায় করে। পার্কের মোড়ে সাগরিকা হোটেলের পাশের এজেন্ট দোকান থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করিয়ে টাকা নেওয়া হয়।
ছাত্রদল কর্মী সামিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি টাকা নেই নি। আমার বিরুদ্ধে থানায় যে জিডি হয়েছে সেটা এক ভাই করিয়েছে। আমি সেই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ওই ভাই আমার সাথে পরে বসতে চেয়েছে। কে জিডি করিয়েছে, কে টাকা নিয়েছে সব প্রমাণ আছ। ঝামেলা শুরু হওয়ার পর আমি সেখানে যাই। আমি ওখানে গিয়েই ফেঁসে গেছি।’
এ বিষয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগটি গতকাল রাতে আমরা পেয়েছি। অভিযোগপত্রটি এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিবো। প্রশাসন থেকে নির্দেশ দিলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমরা এই অভিযোগের বিষয়ে কাল রাতে জেনেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত যারাই আছে তাদের নিয়ে বসবো।