Close Menu
Vorer KhoborVorer Khobor
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Home»জাতীয়»বেরিয়ে এলো মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালক পদ হারানো ইসা বাদশার চাঞ্চল্যকর তথ্য
    জাতীয়

    বেরিয়ে এলো মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালক পদ হারানো ইসা বাদশার চাঞ্চল্যকর তথ্য

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 5, 2025 9:15 AMNo Comments8 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    দেশের কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালক পদ হারানো মোহাম্মদ ইসা বাদশা নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি মিডল্যান্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও বোর্ড অডিট কমিটির সদস্য ছিলেন।

    সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের দায়ে তাকে ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ দেওয়ার নিদের্শনা দেয়। আর তিনি নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকে ঋণখেলাপি। বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন তিনি।

    ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজ ভাঙা শিল্পের আড়ালে এই অর্থের একটি অংশ কানাডায় পাচার করা হয়েছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদনটি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোহাম্মদ ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে ২৬৩টি আমানত হিসাবে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ৬ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা জমা এবং ৬ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তখন তার সব হিসাবে স্থিতি ছিল ৬ কোটি টাকা। আবার মোহাম্মদ ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে ৬১৬ কোটি টাকার ফান্ডেড ঋণ মন্দ ঋণ হিসাবে খেলাপি এবং অবলোপন অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি তার নামে ৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে, যা ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঋণের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার নামে পরিচালিত অন্যান্য সব ঋণ হিসাব ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। মোহাম্মদ ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে ৩টি ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার তথ্যও পাওয়া যায়।

    সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কানাডায় অবস্থান করছেন এবং ব্যাংক তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছে না। সে প্রেক্ষিতে কানাডা থেকে সন্দেহভাজন ইসা বাদশার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিএফআইইউ।

    বিদেশি তথ্য বিশ্লেষণ : মোহাম্মদ ইসা বাদশা, তার স্ত্রী সালমা বাদশা ও যৌথ হিসাবধারী মুমতাহীনা মুন্নু (ইসা বাদশার কন্যা), মুতাফিন মীম, আবু জাফর সিদ্দীক এবং মোহাম্মদ আজান ইসার নামে কানাডার ডেটাবেজে সংরক্ষিত ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সম্পাদিত সন্দেহজনক লেনদেন (এসটি), লার্জ ক্যাশ ট্রান্সজেকশন রিপোর্ট (এলসিটিআর) এবং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার রিপোর্টের (ইএফটিআর) তথ্যের সারাংশ বিশ্লেষণে দেখা যায়, উল্লিখিত বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে বড় বড় অঙ্কের (২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার বা এর অধিক) নগদ লেনদেন করার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এসব লেনদেনের উদ্দেশ্য বা কারণ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাদের সব হিসাবের (একক এবং যৌথ নামে পরিচালিত) বিপরীতে কানাডায় এসটি থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

    আরও পড়ুনঃ  সালমান এফ রহমানের মূল চক্রের গোপন খবর ফাঁস করলেন আল জাজিরার সাংবাদিক

    ইসা বাদশার নামে পাওয়া কানাডার ইএফটিআর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোহাম্মদ ইসা বাদশার নির্দেশে সিটি ব্যাংক এনএ মেরিনা ভিউ এশিয়া স্কয়ার সিঙ্গাপুর থেকে তার কানাডার দুটি ব্যাংক হিসাবে ৫টি লেনদেনে ৬ লাখ ১৩ হাজার মার্কিন ডলার পাঠানো হয়, যার মধ্যে ৩ লাখ ডলার সম্পত্তি— ক্রয়ের জন্য লেনদেন করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে, মোহাম্মদ ইসা বাদশা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব, কোনো কোম্পানি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তির মালিকানা থেকে থাকলে তার তথ্য বিএফআইইউকে সরবরাহ করতে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়। সিঙ্গাপুর থেকে জানা যায়, ইসা বাদশা আলহাজ মোহাম্মদ বাদশাহ নামে সিটি ব্যাংক সিঙ্গাপুর লিমিটেডে ইউএসডি সিটিএকসেস ধরনের হিসাব পরিচালনা করেন। এতে বড় অঙ্কের লেনদেন করা হয়। এদিকে ইসা বাদশা ও মুমতাহীনা মুন্নুর যৌথ হিসাবের বিপরীতে কানাডায় প্রায় ৫৫.৪৮ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ৩৮৮টি এসটির তথ্য পাওয়া যায়। মুমতাহীনা মুন্নুর নামে কানাডায় ৭০ হাজার কানাডিয়ান ডলারের ১টি এসটি, ৮৫ মার্কিন ডলারের ১টি কারেন্সি এক্সচেঞ্জ, ২৫.৭৮ লাখ কানাডিয়ান ডলার ও ১৫ হাজার মার্কিন ডলারের ৪৫১টি এলসিটিআর বা এসটি, ১ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ২টি ইএফটির তথ্য পাওয়া যায়। ইসা বাদশা, মুমতাহীনা মুন্নু ও মুতাফিন মীমের যৌথ হিসাবের বিপরীতে কানাডায় প্রায় ৭.৮০ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ১২২টি এসটির তথ্য পাওয়া যায়। সালমা বাদশার নামে কানাডায় প্রায় ২.২৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ১৮টি এসটি এবং ৪.২৩ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ৭২টি এলসিটিআরের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পরিচালিত হিসাবে কানাডায় প্রায় ১.৪৫ লাখ কানাডিয়ান ডলারের ১০টি নগদ জমার তথ্য পাওয়া যায়। মোহাম্মদ ইসা বাদশা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কানাডায় বড় অঙ্কের লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মর্মে দেখা যায়, যার অনেকগুলোই কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। কানাডা-সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং তাতে বড় অঙ্কের লেনদেনের তথ্য থাকায় সন্দেহভাজন কেউ সেখানে বিনিয়োগ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে দেশের বাইরে বিনিয়োগ/মূলধন স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, মোহাম্মদ ইসা বাদশাকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

    ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এলসিসংক্রান্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোহাম্মদ ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে ৩১টি এলসির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে যুমা এন্টারপ্রাইজ ২০১২ থেকে ২০১৮ সালে ১৪টি এলসির বিপরীতে জাহাজ ভাঙা ও ১টি করে এলসির বিপরীতে রিকন্ডিশন করা ক্যাটারপিলার, ডাম্প ট্রাক, হাইড্রোলিক এক্সকেভেটর বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৭ সালে ১৪টি লোকাল এলসি খুলেছে মোহাম্মদ ইসা বাদশার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যুমা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মুসা অ্যান্ড ইসা ব্রাদার্স। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ৩টি এলসি, ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকার ১০টি এলসি এবং ৬ কোটি ৩ লাখ টাকার ১টি এলসি রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ  পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন নাহিদ ইসলাম

    মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে সিলভিয়া শিপ ট্রেড থেকে ২০১৪ সালে প্রায় ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুটি এলসিতে জাহাজ ভাঙা যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। বিএফআইইউর প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সিলভিয়া শিপ ট্রেড একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যার এমডি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান মিলন নামের একজন ব্যক্তি। অপর এক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামভিত্তিক মিশম্যাক গ্রুপ ও সিলভিয়া গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান মিলন। যিনি দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তাকে দেশে ফেরত আনার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরে সিটিব্যাংক এনএ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আদালতের কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠান জাহাজ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করে। ক্রয়ের ৩০% দেশি ও ৭০% বিদেশি এবং বিক্রয়ের ২০% স্থানীয় এবং ৮০% আন্তর্জাতিক। ইউরোপ, এশিয়া, ইউনাইটেড স্টেটস থেকে প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ ক্রয় করে এবং বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চায়না, পাকিস্তানে জাহাজ বিক্রয় করে। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ডানা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে ২০১৫ সালে ১৭.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে জাহাজ ভাঙার যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়।

    প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ডানা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন সেইন্ট কিটস এবং নেডিসে অবস্থিত একটি অফশোর কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ রপ্তানি করলেও এটির অন্য ব্যবসাও রয়েছে। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে অল সিজ হোল্ডিংস লিমিটেড সিঙ্গাপুর থেকে ২০১৫ সালে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অল সিজ হোল্ডিংস লিমিটেড সিঙ্গাপুরকে দেওয়া ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে মেসার্স ডেমো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে ২৩.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ২টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করে। মেসার্স ডেমো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক জাহাজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। যার হেডকোয়ার্টার ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির এমডি রাজ বানস সিং। এই প্রতিষ্ঠান জাহাজের পাইকারি ব্যবসা করে। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে মেসার্স ডেমো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ২০১৭-২০১৮ সালে ১২.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, মেসার্স ডেমো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক এনএ এবং কমার্স ব্যাংক এজি ব্রাসেলস শাখার গ্রাহক ছিল। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের রেড রুবি গ্রুপ লিমিটেড থেকে ২০১৫-২০১৭ সালে ৩৫.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৪টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়। লন্ডনের হাবিব ব্যাংক জানায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তাদের এলসিভিত্তিক লেনদেন রয়েছে। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে এস শিপ রিসাইক্লিং প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ২০১৮ সালে ৭.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনায় যে বিবৃতি দিলো বাটা

    আরও জানা গেছে, এটি একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যার সিংহভাগ শেয়ারের মালিক ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমজে স্ক্র্যাপ প্রাইভেট লিমিটেড এবং পরিচালক মিস্টার কুমার মায়াঙ্ক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন লৌহ-অলৌহ স্ক্র্যাপ, খনিজ ইত্যাদি বেচাকেনা ও রপ্তানি করে থাকে। মেসার্স যুমা এন্টারপ্রাইজ ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে উরিজেন শিপিং লিমিটেড থেকে ২০১৪ সালে ৫.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অবস্থিত। মুসা অ্যান্ড ইসা ব্রাদার্স এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে মাচিয়ামা করপোরেশন থেকে ২০১৭ সালে ২১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের ১টি চালানে ডাম্প ট্রাক আমদানি করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি একটি জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যার চিফ এক্সিকিউটিভ রাফাত ইব্রাহিম মাচিয়ামা নামক এক ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানটির অটো/মোটরযান ব্যবসা রয়েছে। মুসা অ্যান্ড ইসা ব্রাদার্স এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে হুয়াসিং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ২০১৬ সালে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারের ১টি এলসিতে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যার এমডি লি চিন সেং নামক এক ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ বাণিজ্য ঠিকাদারের কাজ করে। মুসা অ্যান্ড ইসা ব্রাদার্স এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে জুয়েল এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ থেকে ২০১৩-২০১৫ সালে ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার ৩টি চালানে এমএস প্লেট ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার ১টি চালানে চিনি ক্রয় করে।

    পাশাপাশি যমুনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ থেকে ২০১৬-২০১৭ সালে ১৩ কোটি টাকার ৩টি চালানে চিনি ক্রয় করা হয়। জুয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক জনৈক মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ওয়ান ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখায় পরিচালিত হতো। যা ২০১৮ সালে বন্ধ করা হয়। যমুনা এন্টারপ্রাইজের মালিকও মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ইস্টার্ন ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় পরিচালিত হতো। যা ২০১৮ সালে বন্ধ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি বাদশা গ্রুপের বিল্ডিংয়ে অবস্থিত। ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখ করা হয়, পুরতান স্ক্র্যাপ ও ভোগ্যপণ্য আমদানি, ক্রয়, বিক্রয় এবং বিপণন ও সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করছে যমুনা এন্টারপ্রাইজ। যমুনা এন্টারপ্রাইজের হিসাব থেকে ইসা বাদশার মালিকানাধীন এমএম এন্টারপ্রাইজের হিসাবে অর্থ জমা করা হয়।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      ভারত-তাজউদ্দীনের গোপন সেই ৭ দফা চুক্তিতে আসলে কী ছিল?

      April 12, 2025 9:33 AM

      শঙ্কা’র পরেই ফের ভূমিকম্প, ৪ জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে

      April 12, 2025 9:17 AM

      সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ঢাকায় আগমন ঠেকানোর নির্দেশ পুলিশের

      April 12, 2025 8:12 AM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      CA to visit UK from June 10–13 to deepen Dhaka-London ties – Bd24live

      June 21, 2025 2:11 AM

      Crypto Crossroads: Navigating the Optimal Exchange from Tether TRC20 (USDT) to Litecoin (LTC) – Bd24live

      June 20, 2025 10:43 PM

      Israeli Airstrikes Kill Iran’s Revolutionary Guard Chief – Bd24live

      June 20, 2025 7:09 PM

      Israel Unilaterally Attacked Iran: U.S. Secretary of State – Bd24live

      June 20, 2025 4:41 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Vorer Khobor

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.