বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায় আটক পাঁচ ডাকাতকে ছাড়াতে দলবল নিয়ে থানায় হাজির হলেন ছাত্রদলের বরিশাল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আটক হওয়া ডাকাতদের মধ্যে একজন যুবলীগ নেতাও রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার মুলাদীতে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের পক্ষে কিছু লোকজন নিয়ে থানায় এসেছিলেন সোহেল রাঢ়ি। তাদের দাবি গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন ডাকাত নয়, ষড়যন্ত্রের শিকার।
ডাকাতির মালামাল নিয়ে পালানোর সময় গত ১০ মার্চ সোমবার সকালে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে পাঁচজন ডাকাতকে আটক করেন গ্রামবাসী। সেই সময় দুজন ডাকাত পালিয়ে যায় বলে জানান তারা। পরে তাদের নৌপুলিশের মাধ্যমে সোপর্দ করা হয় মুলাদী থানায়।
গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচ ডাকাতের অন্যতম হলেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন (৩৮) ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন, বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের কাণ্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে সায়েম ব্যাপারী (২২)।
নিরপরাধ দাবি করে এদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্যই দলবল নিয়ে মুলাদী থানায় যান সোহেল। পরে অবশ্য তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠিয়ে দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।
যুগান্তরকে জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের আটক করে নৌপুলিশের কাছে দিয়েছেন গ্রামবাসী। ডাকাতির মালামালও উদ্ধার হয়েছে। মামলা দায়ের করেছে নৌ থানা পুলিশ। এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। সেটাই বলেছি তাদের। আদালতে আইনি লড়াই চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। তারপর তারা চলে গেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা ডাকাত নয়। পাওনা টাকা আনতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আলম তাদের ডাকাত সাজিয়ে পুলিশে দিয়েছেন। সেটা জানাতেই থানায় গিয়েছিলাম।
দলবল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া নিরপরাধ ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন আমার সঙ্গে ছিলেন।