মেরেঙ্গে সংগীতের কিংবদন্তি গায়ক রুবি পেরেজ। তার অসংখ্য গান ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তবে হঠাৎ সব থেমে গেল চলে চিরকালের জন্য চলে গেলেন এই গায়ক। রুবির মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা। পিপলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ডোমিনিকান রিপাবলিকের একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবের ছাদ ধসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯৮ জন। নিহতদের মধ্যে আছেন ৬৯ বছর বয়সী গায়ক রুবি পেরেজও। এ দুর্ঘটনায় পেরেজের স্যাক্সোফোনিস্টও মারা গেছেন। তার ম্যানেজার এনরিকে পলিনো স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
পেরেজের মেয়ে জুলিনকা পেরেজ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়ার পরও তার বাবা গান গাইছিলেন। তারা তাকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিলেন এবং তার কণ্ঠস্বর শুনেছিলেন। জুলিনকার ভাষ্য অনুযায়ী, তার বাবা গান গাইছিলেন যাতে উদ্ধারকারীরা তাকে খুঁজে পেতে পারেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে থাকতে পারেননি।
রুবি পেরেজের এই অকাল মৃত্যু ডোমিনিকান রিপাবলিকের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার ভক্তরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব বিষয় নিয়েই একের পর এক পোস্ট করছে পেরেজ ভক্তরা।
প্রসঙ্গত, তরুণ থাকতে পেরেজের স্বপ্ন ছিল বেসবল খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তার বাম পায়ে স্থায়ীভাবে ক্ষতি হলে, তিনি সংগীতের দিকে মনোনিবেশ করেন। পরে সান্তো ডোমিঙ্গোর ন্যাশনাল কনসারভেটরিতে সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন স্কুল ব্যান্ডে অংশ নিতে শুরু করেন। পেশাদার সংগীত জীবনের শুরুতে তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত সংগীতশিল্পী উইলফ্রিডো ভারগাসের অর্কেস্ট্রায় গেয়েছেন। সেখানে তিনি ‘এল আফ্রিকানো’, ‘ভলভেরি’, ‘কুয়ানডো এসটেস কন এল’, এবং ‘কোবার্দে কোবার্দে’-র মতো জনপ্রিয় গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে রুবি পেরেজ একক শিল্পী হিসেবে সংগীতজগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তার একক অ্যালবাম ‘রুবি পেরেজ’ বিলবোর্ডের ট্রপিক্যাল চার্টে ১৫ নম্বরে এবং তার গান ‘লাভ হার’ লাতিন চার্টে ২৯ নম্বরে অবস্থান করেছিল। তিনি একাধিকবার ‘ক্যাসান্দ্রা অ্যাওয়ার্ডস’ অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘অর্কেস্ট্রা অব দ্য ইয়ার’ এবং ‘মেরেঙ্গে অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার।