নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিন্নাগনি এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহর উসকানিমূলক একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য তিনি গত ১ এপ্রিল সেনবাগ থানার মোড়ে আয়োজিত এক পথসভায় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন বিন্নাগনিকে মাইনাস করে, বিন্নাগনির ছেলেপেলেদের ওপর আক্রমণ করে আপনারা আপনাদের গায়ের গোশত ঝাড়বেন, আমরা আপনাদের গোশত ছিনে নিয়ে আসব। যদি আমাদের আর একটা নেতাকর্মী, ছেলের গায়ে, বিএনপির নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাত দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সেই হাত আমরা কেটে নেব।’
বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিন্নাগনির বাসিন্দারা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অর্জুনতলা এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই অর্জুনতলা ১৬টি বছর বিন্নাগনিকে ফিলিস্তিন বানিয়ে রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পরে আমাদের অনেক নেতাকর্মীর গায়ে হাত দেয়া হয়েছে। আমরা তখনো বিচার চাই নাই, এখনো চাই না।’
এ সময় নিজের দলের ভেতরের একটি অংশের দিকেও ইঙ্গিত করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কত বড় বিএনপি আমরা জানি। আপনারা আওয়ামী লীগের দালালি করেন, মামলা থেকে বাঁচার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের টাকা দিতেন।’
বক্তব্য চলাকালে পুলিশের একটি গাড়ি পাশ দিয়ে গেলেও তা থামেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, এই বক্তব্যের পর অর্জুনতলা এলাকার অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। তবে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে বিএনপি করার লোক পাইনি। আগে যারা আওয়ামী লীগ করত, তাদের পরিবার এখন বিএনপি পরিবার হয়ে গেছে। তাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তেই এমন ভাষা ব্যবহার করেছি। তবে একজন নেতা হিসেবে আরও সহনশীলভাবে কথা বলা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই সময় ছুটিতে ছিলাম, ভিডিওটি এখনো দেখিনি।’