মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য নিরলস কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে, ধ্বংসস্তূপের নিচে কারও ৪০ ঘণ্টা তো কারও ৬০ ঘণ্টা বেঁচে থাকার মতো গল্পগুলো উঠে আসতে শুরু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, একজন বয়স্ক নারী এবং তার দুই কিশোরী নাতনি তাদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে ছোট একটি জায়গায় আটকা পড়েছেন।
উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ভাঙা কংক্রিটে ছোট একটি ছুরি দিয়ে আঘাত করছিল তারা। নিজেদের মরিয়া আর্তনাদের সেই ঘটনা কাছে থাকা মোবাইল দিয়ে নিজেরাই ভিডিও করেন তারা।
জানা যায়, উদ্ধারকারীরা তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার আগে ওই তিনজন ১৫ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন।
একই রকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন আরও দুই নারী। উদ্ধারকারীরা খুঁজে পাওয়ার আগে, মান্দালয়ে তাদের ধসে পড়া হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে পাঁচ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তারা। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ভাঙা ছাদের নিচে উপুড় হয়ে বসে ছিলেন তারা।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই নারী সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন।
তাদের মধ্যে একজন বলেন,
আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে আটকা পড়েছিলাম। কিন্তু ভালো দিক হলো আমাদের কাছে একটি ফোন ছিল এবং আমরা এটির আলো ব্যবহার করে দেখতে পারছিলাম। যদি আমাদের কাছে ফোন না থাকত, তাহলে আমরা মারাও যেতে পারতাম।
সিএনএনকে তিনি আরও বলেন,
আটকা পড়ে আমরা শিখেছি যে কিছুই চিরস্থায়ী নয় এবং মৃত্যুর আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সুখী জীবনযাপন করা এবং অনেক ভালো কাজ করা। খারাপ কাজ করবেন না, কারণ কর্ম আপনাকে অনুসরণ করবে।
এদিকে ‘অলৌকিক উদ্ধারের’ পাশাপাশি, মিয়ানমারজুড়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও উঠে আসছে।