Close Menu
Vorer KhoborVorer Khobor
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Home»আন্তর্জাতিক»ইসরাইল ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরব দেশগুলোর কার কী অবস্থান
    আন্তর্জাতিক

    ইসরাইল ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরব দেশগুলোর কার কী অবস্থান

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 9, 2025 9:20 AMNo Comments4 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

    ফিলিস্তিনিদের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করে আরব দেশগুলো। তবে নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও গোষ্ঠীগত উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দেশগুলোর সম্পর্ক জটিল করে তুলেছে। এতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট।

    জর্ডান

    ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় অন্তত সাত লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়েছিলেন বা তাদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তখন বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দিয়েছিল জর্ডান। এ ছাড়া ১৯৬৭ সালের আরব দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইল জয় পাওয়ার পর ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) জর্ডানে আশ্রয় নেয়।

    জর্ডান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইসাইলে হামলা চালাত পিএলও। দেশটির তৎকালীন বাদশাহ হুসাইনকেও হুমকি দিয়েছিল তারা। ১৯৭০ সালে বাদশাহর মোটর শোভাযাত্রায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। তবে বেঁচে যান বাদশাহ। পরে তিনি পালটা আঘাত করেন এবং গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তখন হাজার হাজার মানুষ নিহত হন এবং ফিলিস্তিনিদের লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    ১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি শান্তিচুক্তিতে সই করে জর্ডান। এর আগে একটি দেশই কেবল ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিল। সেটি ছিল মিসর।

    আঞ্চলিকভাবে ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দেশটি আব্রাহাম অ্যাকর্ডের (চুক্তি) মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

    লেবানন

    পিএলও জর্ডান থেকে লেবাননে চলে আসার পর ১৯৭৫ সালে বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত দেশটি বহুমুখী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইসরাইল, সিরিয়া ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার নিয়মিত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন শরণার্থীশিবির। এককালে মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে খ্যাত লেবাননের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই করছিল ওই গোষ্ঠীগুলো।

    আরও পড়ুনঃ  কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের বিস্ফোরক মন্তব্য

    লেবাননে ওই সংঘাত চলেছিল ১৫ বছর ধরে। সে সময় সবচেয়ে নৃশংস ঘটনাগুলোর একটি ছিল—লেবাননের খ্রিষ্টান সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সাবরা ও শাতিলা শরণার্থীশিবিরে অন্তত ৮০০ বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা। ওই গোষ্ঠীটির সমর্থন ও অর্থ দিয়েছিল ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

    ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে বরাবরই সোচ্চার লেবানন সরকার। তবে তাদের নাগরিক অধিকার দিতে নারাজ। এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখেও পড়েছে দেশটি। লেবানন সরকারের ভাষ্য, তাদের এই নীতির লক্ষ্য হলো—শরণার্থী ফিলিস্তিনিরা যেন লেবাননে স্থায়ী না হয় এবং নিজেদের জন্মভূমিতে ফেরত যেতে পারে।

    মিসর

    আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল মিসর নিজেদের ফিলিস্তিনের বড় সমর্থক বলে মনে করে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যে নৃশংসতা চলছে, তা বন্ধের জন্য ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে দেশটি। এর আগেও সেখানে বিভিন্ন সংঘাত থামাতে এবং শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রেখেছে কায়রো।

    হামাসসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিসরের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনের আইনসভার নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই গাজা শাসন করে আসছে হামাস। হামাস মিসরের রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা। এই সংগঠন থেকে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ মুরসি। ২০১৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসি।

    আরও পড়ুনঃ  ‘ইসরায়েল ধ্বংসে ইরানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল হামাস’

    মিসরের অগ্রাধিকার হলো গাজা ও সিনাই উপদ্বীপের মধ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখা। গাজায় হামাস ক্ষমতায় আসার পর থেকে উপত্যকাটি অবরোধ করে রাখতে ইসরাইলকে সাহায্য করছে মিসর। ইসরাইলের সঙ্গে প্রথম কোনো আরব দেশ হিসেবে ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তি করে মিসর। দেশটিতে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য, দিন দিন তারা ক্রমবর্ধমান আমলাতান্ত্রিক ও নিরাপত্তা–সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।

    সাদ্দাম হোসেনের আমলে ইরাকে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা ভর্তুকিতে আবাসন সুবিধা পেত। তাদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। চাকরি করার অধিকারও পেয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা।

    সংযুক্ত আরব আমিরাত

    আঞ্চলিকভাবে ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দেশটি আব্রাহাম অ্যাকর্ডের (চুক্তি) মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার যে রীতি আরব দেশগুলোর মধ্যে ছিল, তা ওই চুক্তির মাধ্যমে লঙ্ঘন করে ইউএই।

    প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ইডিজিই’ ইসরাইলের ‘থার্ডআই সিস্টেম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। ড্রোনসহ চালকবিহীন বিভিন্ন আকাশযান শনাক্তের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে থার্ডআই সিস্টেম।

    সুদান

    সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ১৯৬৭ সালে ‘থ্রি নো’ প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়। ‘থ্রি নো’ বা ‘তিন না’ ঘোষণায় ছিল—ইসরাইলকে কোনো স্বীকৃতি নয়, ইসরাইলের সঙ্গে কোনো শান্তিচুক্তি নয় ও তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়।

    আরও পড়ুনঃ  জানা গেল ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ

    তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সুদান। তখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের সঙ্গে সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় দেশটির নাম ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ তালিকা থেকে সরিয়ে নিতে রাজি হয় তার প্রশাসন। ওই তালিকায় থাকার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে একঘরে হয়ে ছিল খার্তুম।

    কুয়েত

    ১৯৯০ সালে পারস্য উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশ কুয়েত দখলের সিদ্ধান্ত নেন ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। তার ওই সিদ্ধান্তের প্রতি পিএলওপ্রধান ইয়াসির আরাফাতের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়। এর জেরে আরাফাতের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

    ইয়াসির আরাফাতের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ও অর্থদাতা ছিল কুয়েত। ১৯৬৪ সালে দেশটিতে কাজ করার সময় ফাতাহ গড়ে তোলেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে ইরাকের পরাজয়ের পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হয়।

    ইরাক

    সাদ্দাম হোসেনের আমলে ইরাকে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা ভর্তুকিতে আবাসন সুবিধা পেত। তাদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। চাকরি করার অধিকারও পেয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। ভিন্ন কোনো দেশের মানুষের জন্য এসব ছিল বিরল সুযোগ–সুবিধা। তবে ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর ইরাকে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের দমন–পীড়ন ও সহিংসতার মুখে পড়তে হয়। তাদের অনেককে দেশটি থেকে বিতাড়িতও করে নতুন করে শক্তি অর্জন করা শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভয়াবহ অভিযোগ এনে ভারতের কড়া বার্তা

      May 11, 2025 9:50 AM

      ব্ল্যাকআউট, ড্রোন: যুদ্ধবিরতির পর শনিবার রাতে কী ঘটেছিল কাশ্মীরে?

      May 11, 2025 8:33 AM

      যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী

      May 11, 2025 8:19 AM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      CA to visit UK from June 10–13 to deepen Dhaka-London ties – Bd24live

      June 21, 2025 2:11 AM

      Crypto Crossroads: Navigating the Optimal Exchange from Tether TRC20 (USDT) to Litecoin (LTC) – Bd24live

      June 20, 2025 10:43 PM

      Israeli Airstrikes Kill Iran’s Revolutionary Guard Chief – Bd24live

      June 20, 2025 7:09 PM

      Israel Unilaterally Attacked Iran: U.S. Secretary of State – Bd24live

      June 20, 2025 4:41 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Vorer Khobor

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.