Close Menu
Vorer KhoborVorer Khobor
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Vorer KhoborVorer Khobor
    Home»জাতীয়»অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো ‘ঘুসখেকো’, এসপি হান্নানের চাঞ্চল্যকর তথ্য
    জাতীয়

    অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো ‘ঘুসখেকো’, এসপি হান্নানের চাঞ্চল্যকর তথ্য

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 6, 2025 10:24 AMNo Comments8 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এসপি হিসাবে যোগ দিয়েই ঘুসবাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম চালাচ্ছেন নরসিংদীর এসপি আব্দুল হান্নান। মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পেয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছেন পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর। ঘুস টর্চারে অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে একজন ইন্সপেক্টর মুখ খুলেছেন। ভুক্তভোগীর সংখ্যা অনেক হলেও চাকরি যাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এমন তথ্য উঠে এসেছে যুগান্তরের অনুসন্ধানে।

    জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার এমন ওপেন ঘুসবাণিজ্যের কারণে দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যরা বেশ খুশি। তারা অবারিত এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন। এসপির সীমাহীন ঘুস চাহিদার জোগান দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন একশ্রেণির পুলিশ সদস্য। কেউ কেউ নিজেরা লাভবান হতে জেলার সব অপরাধ সাম্রাজ্য ওপেন করে দিয়েছে।

    এদিকে সূত্র বলছে, এসপি আব্দুল হান্নান ঘুস কারবারে আগে থেকে সিদ্ধহস্ত। কর্মজীবনে যেখানে থেকেছেন সেখানে তিনি নিজের আখের গোছাতে বেপরোয়া ঘুস বাণিজ্য করেছেন। এমনকি ভালো জেলায় এসপি পদে পোস্টিং নিতে নিজেও ঘুস দিয়েছেন। সাবেক ডিএমপি কমিশনারকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে এসপি হিসাবে প্রাইজপোস্টিং পেতে চেষ্টা করেন। বিষয়টি এক রকম ওপেন সিক্রেট। যদিও উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরের কাছে অকপটে সব স্বীকার করেন।

    ‘ঘুসখেকো’ এসপি আব্দুল হান্নানের নানা অপকর্মের অবিশ্বাস্য সব তথ্য সিনেমার কল্পকাহিনিকেও হার মানাবে। অধীনস্থ পুলিশ সদস্য ছাড়াও তিনি মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষমতার অপব্যবহারকারী প্রভাবশালীকে শেল্টার দিচ্ছেন। এ ছাড়া নিয়মিত মোটা অঙ্কের কারবার ঠিকঠাক রাখতে একটি নিজস্ব বলয় গড়ে তুলেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে যুগান্তরের মাসব্যাপী অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্যপ্রমাণ বেরিয়ে এসেছে। এ সংক্রান্ত মুঠোফোনের স্ক্রিনশর্টসহ মোবাইলে কথা বলার ভয়েজ রেকর্ডসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত যুগান্তরের কাছে সংরক্ষিত আছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম যুগান্তরকে বলেন, ‘নরসিংদীতে গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের পর সেগুলো বিক্রি করার একটি অভিযোগ আমি জানতে পেরেছি। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। তবে এসপির ব্যক্তিগত এসব বিষয় সম্পর্কে আমি অবহিত নই। উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই এসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরুত্ব দিয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোও তদন্ত করা হবে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কান টানলে মাথা অটোমেটিক আসবে। কারও ব্যক্তিগত দায় পুলিশ বাহিনী বহন করবে না।’

    ঘুস নেওয়ার নমুনা : তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এসপি আব্দুল হান্নান গত ১০ মার্চ ডিবি ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ক্ষুদে বার্তা পাঠান এসপি আব্দুল হান্নান। সেখানে সৈয়দুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে দুই লাখ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব (ব্র্যাক ব্যাংক, বরিশাল ব্রাঞ্চ, হিসাব নম্বর ০৫০১১০২৫২৯১৪৮০০১) উল্লেখ করে লেখা হয়, ‘টু লাখ টুমোরো।’ এর আগে এসপি আব্দুল হান্নান কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে দফায় দফায় ব্যাংক হিসাব পাঠিয়ে এভাবে লাখ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন।

    এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৯ মিনিটে মো. নাহিদুজ্জমান নামে একজনের কাছে টাকা পাঠাতে ডিবি ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানকে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। সেখানে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং (৭০১৭০১৯৬৬৩৫৩৬) নম্বর উল্লেখ করে টাকা পাঠানোর সাংকেতিক শব্দ ‘টু লাখ টুমোরো’ লেখা হয়। এরপর কামরুজ্জামান এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওই হিসাবে ১১ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা পাঠান। গত ৫ জানুয়ারি মো. শাহজাহান আলীর নাম লিখে ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহ ব্রাঞ্চের হিসাব নম্বর (২০৫০১৭৫০২০২২৪৯১০০) পাঠান। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে ৪২ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন এসপি। ৬ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক নরসিংদী শাখা থেকে এসপির পাঠানো ওই হিসাবে ৪২ হাজার টাকা পাঠান ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর শেফালি খাতুনের নাম লিখে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে মেসেজ পাঠান। কামরুজ্জামান ২৬ নভেম্বর শেফালির অ্যাকাউন্টে (০২০০০০৭৬৪৭৯৬১) ৫০ হাজার টাকা পাঠান। এছাড়া নুরুজ্জামান নামে আরেকজনের ইসলামী ব্যাংকের আরেকটি হিসাবে গত ২৬ নভেম্বর ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এমনকি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকাও নিয়েছেন এই এসপি। এভাবে টাকা পাঠাতে এসপি তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ  আয়নাঘর পরিদর্শনে ছয় মাস সময় লাগার কারণ জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘এসপি স্যার প্রায় সময় আমাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে টাকা পাঠাতে বলতেন। দিনের পর দিন হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠাতে আমাকে বাধ্য করতেন। ব্যক্তিগত নম্বর থেকে (০১৭১৬০৫৫১০০) মেসেজ পাঠিয়ে আবার এসপি বলতেন, ‘আমি একটি এসএমএস করেছি দেখেন, এ নম্বরে দুই লাখ টাকা পাঠান। এভাবে অসংখ্যবার টাকা পাঠানোর কারণে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে বিরক্ত হয়ে তার টাকা পাঠানোর নির্দেশনার বিষয়ে আমি বলেছি, ‘স্যার এ মুহূর্তে আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আর কোনো টাকা পাঠাতে পারব না। এভাবে টর্চার করলে আইজি স্যারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হব। এ কথা বলার পর তিনি ফোন রেখে দেন এবং আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান।’

    এদিকে একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসপি আব্দুল হান্নান প্রায় সময়ই রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের কথা বলে বিভিন্ন থানা থেকে দুই লাখ টাকা করে নেন। এছাড়া ডিবিতে মাইক্রোবাস রিকুইজিশনের কথা বলে বিল ভাউচার করে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা তুলে নিচ্ছেন। অথচ ডিবিতে এ প্রক্রিয়ায় কোনো গাড়িই ব্যবহার হয় না।

    ডিবির একজন সদস্য বলেন, ‘এসপি স্যার, সদর থানার ওসির মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা থেকে এসআই এবং এএসআইকে পোস্টিং করান টাকার বিনিময়ে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলে নরসিংদী ডিবিতে কর্মরত এসআই মোস্তাক ও এএসআই হারেছ মিয়াকে বদলি করে সদর থানায় নিয়ে আসেন। এসপির নির্দেশে এই দুজনকে দিয়ে সমগ্র জেলায় সাদা পোশাকে ডিউটি দেওয়া হয়। এই দুজনই মূলত এসপির অবৈধ আয়ের প্রধান বাহক। তাদের দিয়ে আওয়ামী লীগপন্থি ও বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়। কারণ এরা আগে থেকে এসব বিষয়ে অনেক তথ্য জানেন। এজন্য তাদের ব্যবহার করে তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করেন এসপি।

    আরও পড়ুনঃ  মিয়ানমার সামরিক জান্তার নতুন কৌশল, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা

    এখানেই শেষ নয়, পুলিশের এই দুই সদস্যকে দিয়ে জেলাজুড়ে মাদক কারবারকে চাঙা করা হয়। মাদক কারবারিদের তালিকা করে তাদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়ের দায়িত্ব পান এই দুজন পুলিশ সদস্য। মূলত এসপির খাস লোক হিসাবে এই দুই পুলিশ সদস্য নরসিংদীর আতঙ্কে পরিণত হন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে এই দুজনের বাইরে গিয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম যখন মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৯৬ কেজি গাঁজা ও ১৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশের এসআই মোবারক ও এসআই জমিরুল। এতেই ক্ষুব্ধ হন এসপি। কারণ এসপিকে মাসোহারা দিয়েই মাদক কারবারিরা নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালাতেন। ফলে এ অভিযান চালানোর জেরে ডিবি ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান ঢাকা রেঞ্জ অফিসে ক্লোজড হন। কামরুজ্জামানের ধারণা, রেঞ্জ ডিআইজিকে ভুল তথ্য দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন এসপি আব্দুল হান্নান।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর নরসিংদী জেলার গোয়েন্দা শাখায় অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগ দেন কামরুজ্জামান। এসপি আব্দুল হান্নানও যোগ দেন প্রায় একই সময়ে। কিন্তু এসপি হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বদলির ভয় দেখিয়ে কামরুজ্জামানের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেন। এছাড়া ডিবি ও জেলার বিভিন্ন থানায় এসআই ও এএসআই বদলি করে মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়েছেন এসপি। আব্দুল হান্নান মাদারীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাবস্থায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। নানা অভিযোগের পর সেখান থেকে তাকে বদলি করা হয় সারদা পুলিশ একাডেমিতে। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে হবিগঞ্জে ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যানন্ট হিসাবে পোস্টিং পান।

    পদ পেতে ঘুসের সাক্ষী : ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আগে জেলায় পুলিশ সুপার হিসাবে পোস্টিং নিতে ঢাকার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নিকটাত্মীয় গোপালগঞ্জের রবিউল ইসলাম নামে একজনকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দেন আব্দুল হান্নান। যদিও ভোল পালটে ৫ আগস্টের পর নরসিংদীতে এসপি হিসাবে পোস্টিং পান। তবে নরসিংদীতে যোগ দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ আমলে এসপি হওয়ার জন্য রবিউলকে দেওয়া টাকা উদ্ধারে নরসিংদীর জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে মাঠে নামান। এসপির ঘুসের টাকা উদ্ধারে পুলিশ ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেন জেলা ডিবির তৎকালীন ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান। রবিউলকে চাপ দিয়ে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৩৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়। রবিউলের ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার জমির দলিল ও চেক জব্দ করে বাকি টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন এসপি আব্দুল হান্নান। রবিউল ইসলাম বিজয় সরণিসংলগ্ন ১৪৭/১ পুরাতন বিমানবন্দর সড়কে গোল্ডেন টাচ পাবলিকেশন্সের মালিক। শুক্রবার ওই ঠিকানায় গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এসপি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে রবিউল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিস্তারিত জানাতে একটু সময় লাগবে। এই মুহূর্তে কথা বলার পরিবেশে নেই আমি।’

    আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশকে দেওয়া বিশেষ যে সুবিধা বাতিল করল ভারত!

    এসপির দুই গুণধর নিয়ে ক্ষোভ : এসপির নির্দেশে সদর থানায় পোস্টিং পান এসআই মোস্তাক ওরফে টাইগার মোস্তাক এবং এএসআই হারেছ মিয়া। তারা থানায় পোস্টিং পেলেও কাজ করতেন এসপির স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। পুরো জেলা তারা দাপিয়ে বেড়ান। একপর্যায়ে এ দুজনের নাম উঠে আসে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়। জেলা জামায়াত নেতাসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে সভায় বলেন, মোস্তাক ও হারেছ জেলার আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য দায়ী। এরাই মাদক কারবারির আসল হোতা। এরা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাহলে এরা আবার কেন নরসিংদীতে পোস্টিং পেয়েছে? ওদের ফোনকলের সিডিআর যাচাই করলে মানুষকে জিম্মিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলবে। ওই সভার পর টাইগার মোস্তাককে বদলি করা হলেও এসপির হস্তক্ষেপে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন এএসআই হারেছ মিয়া।

    এসপির ত্রিরত্ন : এসপি হয়েই আব্দুল হান্নান নরসিংদীর হাইওয়ে সড়কে মাদক ও চোরাচালান অভিযান নিয়ন্ত্রণে নিতে নিজের আস্থাভাজন লোক নিয়োগ দেন। এজন্য জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাসিন্দা কনস্টেবল রবিউলসহ তিনজনকে নরসিংদীতে পোস্টিং করে নিয়ে আসেন। বাকি দুজনের মধ্যে এসআই জামিরুল ও সাইফুল চাকরির সুবাধে পূর্বপরিচিত। তাদের দিয়ে তিনি মহাসড়ককেন্দ্রিক অপরাধ সাম্রাজ্য কব্জায় নেন। এই ত্রিরত্নও নরসিংদীতে বহাল আছেন।

    অকপটে সব স্বীকার করলেন এসপি : অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি আব্দুল হান্নান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানকে মেসেজ দিয়ে টাকা পাঠানোর বিষয়টি সঠিক। আমি তাকে পাঠাতে মেসেজ দিয়েছিলাম। তবে টাকা আমার নিজের। তার কাছে রাখা ছিল।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টু লাখ টুমোরো’ লিখে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর বিষয়টিও সত্য। ওই টাকাও আমার ব্যক্তিগত। তাকে শুধু মেসেজ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলেছিলাম।’

    এদিকে এসপি পদে পোস্টিং পেতে কেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছিলেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জানেন তো বিগত সরকারের সময়ে টাকা ছাড়া কোনো পোস্টিং হতো না। তখন ভালো একটা পোস্টিং পেতে আমার ব্যাচমেটরা বলল টাকা দিতে। তখন ওই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ না হওয়ায় টাকাগুলো ফেরত আনতে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।’

    অপর এক বিষয়ে এসপি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘নরসিংদী আদালতের সংশ্লিষ্ট একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ডিবি ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান ও মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই শামীনুর যোগসাজশ করে ৯৬ কেজি গাঁজা মালখানায় জব্দ না করে বাইরে বিক্রি করে দেয়। জেলা পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে গাঁজা বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। যদিও বিষয়টি নিয়ে কথা বলা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর, তবু সত্যটা বলতে হচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘ঘটনাটি পরে ঢাকার রেঞ্জ ডিআইজি স্যারকে জানানোর পর ডিবি ইন্সপেক্টরসহ ৬ জনকে প্রত্যাহার করে সংযুক্ত করা হয়। এরপরই আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      ভারত-তাজউদ্দীনের গোপন সেই ৭ দফা চুক্তিতে আসলে কী ছিল?

      April 12, 2025 9:33 AM

      শঙ্কা’র পরেই ফের ভূমিকম্প, ৪ জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে

      April 12, 2025 9:17 AM

      সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ঢাকায় আগমন ঠেকানোর নির্দেশ পুলিশের

      April 12, 2025 8:12 AM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      CA to visit UK from June 10–13 to deepen Dhaka-London ties – Bd24live

      June 21, 2025 2:11 AM

      Crypto Crossroads: Navigating the Optimal Exchange from Tether TRC20 (USDT) to Litecoin (LTC) – Bd24live

      June 20, 2025 10:43 PM

      Israeli Airstrikes Kill Iran’s Revolutionary Guard Chief – Bd24live

      June 20, 2025 7:09 PM

      Israel Unilaterally Attacked Iran: U.S. Secretary of State – Bd24live

      June 20, 2025 4:41 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Vorer Khobor

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.